রংপুরে রোদেলা আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ভর করে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাছপালা উপড়ে পড়াসহ ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। আচমকা ঝড়ের তীব্র গতিবেগে বিভিন্ন স্থানে ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার।
সোমবার (১ জুন) বেলা তিনটার দিকে রংপুর মহানগরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারাগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলায়।
বিকেল থেকেই ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। অনেকটা সন্ধ্যার আঁধারে ঢেকে যায় চারপাশ। এরপর শুরু হয় তীব্রগতির বাতাস; সাথে বৃষ্টি। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে উঠতি ফসলের ক্ষেতও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ রংপুর মহানগরের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর ঝড়ের আচমকা তাণ্ডবে কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি ঝড়ে আম ও লিচু চাষিদের ক্ষতি হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের চান্দামারি গ্রামের জবানুর রহমান সেল্লা জানান, তার একটাই মাত্র ছোট থাকার ঘর। সেই ঘরটির উপরে ঝড়ের সময় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে তার স্ত্রী ও সন্তান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন।
অন্যদিকে তারাগঞ্জের ইকরচালীর ছুট লক্ষ্মীপুরেও বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে সংযোগ। কিছু কিছু জায়গাতে উপরে পড়েছে গাছপালা, বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের টিন। এই ঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারণ করতে পারেননি স্থানীয়রা।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল। তবে কালবৈশাখী ঝড়টি ত্রিশ মিনিটেরও কম সময় স্থায়ী হয়।
এর আগে রোববার মধ্য রাতেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান ওই আবহাওয়াবিদ।