বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মনিকা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-28 07:59:08

অনন্ত কুমার মণ্ডল। পেশায় একজন কৃষক। কৃষি ফসল বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালান তিনি। সংসারে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে অভাবের মধ্যেও মেয়ে মনিকা রাণী মণ্ডলের পড়াশোনা বন্ধ করেননি তিনি। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে তার মেয়ে।

অনন্ত কুমার মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাপুর গ্রামে। মূলত কৃষি কাজই তার একমাত্র পেশা। আর বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায়ই মাঠে কৃষি কাজ করে মনিকা।

জানা গেছে, মনিকা এ বছর সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায় সে। এছাড়া সাদুল্লাপুরের হবিবুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় মনিকা।

তবে এসএসসিতে মনিকার জিপিএ-৫ পাওয়ার ব্যাপারে সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহানা খাতুনের অনেক অবদান রয়েছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি মনিকাকে আলাদা করে বাসায় বিনা বেতনে পড়িয়েছেন তিনি।

মনিকা বার্তা২৪.কমকে জানায়, পড়ালেখা করে ডাক্তার হতে চায় সে। কিন্তু অভাবের কারণে এখন ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মা সাবিত্রী রাণী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অভাবের কারণে ছেলেকে পড়াশোনা করাতে পারিনি। কিন্তু মনিকা ভালো ছাত্রী হওয়ার কারণে পড়াশোনার ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেক সহযোগিতা করেছে। মেয়ে এসএসসিতে ভালো ফলাফলও করেছে। কিন্তু এখন মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’

সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনশাদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মনিকা লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী। সে যেন জীবনে অনেক বড় হয় সে দোয়া করি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর