কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের মানবিক সহায়তার তালিকায় আত্মীয়-স্বজনের নাম তালিকাভুক্ত করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন দুস্থ মানুষের সহায়তায় সরকার কর্তৃক কর্মসূচি চালু করা হয়। কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়নে গঠিত কমিটি তালিকা প্রণয়ন করে। এ তালিকায় প্রকৃত দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের নাম বাদ দিয়ে স্বচ্ছল কর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও একাধিক সুবিধাভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ। এতে প্রকৃত অসহায় মানুষ সহায়তার বাইরের রয়ে গেছে।
এ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের দালালটারী এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি।
অভিযোগকারী ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক জহুরুল হক জনি বলেন, কাউন্সিলরের নিজের আত্মীয়-স্বজন ও কর্মী বাহিনী ছাড়া সরকারি কোনো সুযোগ পান না এ এলাকার মানুষ। তাকে যারা ভোট দেয়নি তাদেরকে কখনই কোনো সুবিধা দেয়া হয় না। করোনা দুর্যোগে মানবিক সহায়তা কার্ডেও একই কাজ করেছেন। নাগরিক হিসেবে আমি অভিযোগ দিয়েছি। তদন্তে আসলে পুরো তথ্য প্রমাণসহ দাখিল করা হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান রাশেদ বলেন, নিয়ম নীতি মেনে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই তালিকা সরকারি কর্মকর্তারা তদন্ত করে চূড়ান্ত করেছেন। এখানে অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। অভিযোগকারী আমাকে হেয় করতে এমন অভিযোগ তুলেছেন। অনিয়ম পেলে প্রশাসন তদন্ত করে পরিবর্তন করুক, তাতে আমার আপত্তি নেই।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।