খুলনায় ১৭২ স্থানে হবে পশু কোরবানি

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা.কম | 2023-08-27 00:09:40

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করতে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। গতবারের মতো এবারও মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৭২টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ঈদের দিন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান ও নবাগত মেয়ররা। মহানগরীতে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করতে প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ৮০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গেল বছরও শহরের ১৭২টি স্থানে পশু কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিল কেসিসি। তবে প্রচার-প্রচারণার অভাবে ফলপ্রসূ হয়নি সেই উদ্যোগ। তবে কেসিসির দাবি, তারা ৬০ ভাগ সফল। এ জন্য এবার যাতে রাস্তা-ঘাটে পশু কোরবানি না করে নির্দিষ্ট স্থানে করা হয় সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করেছে কেসিসি। ঈদের দিন মোবাইল কোর্ট চালানোর বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে।

কেসিসির সিনিয়র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, পশু কোরবানির জন্য ১৭২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি স্থানের উপরে সামিয়ানা টানানো, কোরবানি দাতাদের বসার জন্য ৫০টি করে চেয়ার, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, মাদুর এবং মাংস পরিবহনের জন্য বস্তা ও প্রতিটি স্পটে দুটি ভ্যান থাকবে। এই উদ্যোগ কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১২ সদস্য করে ১৭২টি স্থানীয় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৬ আগস্ট থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে উদ্বুদ্ধকরণ সভা, ১০টি করে ব্যানার ও ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ লিফলেট।

কেসিসির পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহমেদ টোনা জানান, সিটি করপোরেশনের ধারণা অনুযায়ী নগরীতে এ বছর সম্ভাব্য কোরবানিদাতার সংখ্যা ২০ হাজার। আর পশু কোরবানি হবে অন্তত ১৮ হাজার। এ হিসাবকে সামনে রেখে সার্বিক সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের স্পট সাজানো, প্রচারণা ও অন্যান্য কাজে প্রতি ওয়ার্ডে ৮০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন,‘নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিম, মাংস বিক্রেতা ও গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করলে শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি কাজে সফলতা সম্ভব।’

নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘সকলের উচিত কেসিসির নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা। তাতে শহরের পরিবেশ ভালো থাকবে। আমরা সবাই পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাব।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর