সামাজিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখাচ্ছে গাংনী উপজেলা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর | 2023-08-29 10:19:52

করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখাচ্ছে গাংনী উপজেলা। এর পেছনে রয়েছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহসহ আরও বেশ কিছু কার্যকরী উদ্যোগ। যা ফুটে উঠেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। আক্রান্ত এলাকা থেকে আসা সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহসহ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সেবার মানা বিবেচনায় সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করেছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

শনিবার (৬ জুন) পর্যন্ত এ উপজেলায় ১২ জনের করোনা শনাক্ত হলেও সামাজিক সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) না থাকায় এলাকাবাসীর মনে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেশের ৪৮০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিসহ স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন প্যারামিটার বিষয়ক কার্যক্রমের চিত্র রয়েছে। সেখানে এপ্রিল মাস থেকেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। র‌্যাঙ্কিং করা এই তালিকায় প্রথম স্থান চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রিয়াজুল আলম জানান, গেল ১ এপ্রিল থেকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত সন্দেহভাজন মানুষের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। ৬ জুন পর্যন্ত ৬০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে ৫৯৯টি। এর মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ ১২টি আর বাকিগুলো নেগেটিভ। এছাড়াও ইনডোর, আউটডোর, সাব-সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে মান বৃদ্ধি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ৮ জন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও যশোর থেকে এলাকায় ফিরেছেন। ওমান ফেরত একজন ছাড়া কোনো প্রবাসীর করোনা শনাক্ত হয়নি। প্রথম অবস্থায় চিহ্নিত ৮ জনের মধ্যে দুইজনের থেকে সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে। এর মধ্যে সাহারবাটি গ্রামের একজন থেকে তিনজন আর নওদাপাড়া গ্রামের একজন থেকে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য মানুষের নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ। ফলে সামাজিক সংক্রমণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলম বলেন, এপ্রিল মাস থেকে বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে সঙ্গরোধ নিশ্চিত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের কেউ সংক্রমিত না থাকায় আশার আলো দেখা দেয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরত কয়েকজন সংক্রমিত চিহ্নিত হলে তাদেরকে নিজ বাড়িতে রুম আইসোলেশন করে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ করা হয়। কার্যকরী হোম আইসোলেশন ব্যবস্থা ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসাদের নমুনা পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সামাজিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান ছাড়াও খুলনা বিভাগের সবগুলো স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চতুর্থ অবস্থান অর্জন করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর