প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা থেকে শুরু করে সবদিক থেকে পূর্ববাংলা ছিল অগ্রগামী। অথচ আমরা ছিলাম বঞ্চিত। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, এই অঞ্চল থেকে সব আয় হতো আর পরে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমৃদ্ধ করা হতো। বঙ্গবন্ধু সব সময় এই অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন। চাকরি, অর্থনীতি, শিক্ষা সবদিক থেকে বাঙালিরা বঞ্চিত ছিল। এই অঞ্চলের ৭০ ভাগ অর্থ পশ্চিম বাংলায় ব্যয় করা হতো।
রোববার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৬ সালে ৭ জুন ছয় দফা আন্দোলনের জন্য যে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিল, আর সেই ছয় দফা আন্দোলন কর্মসূচী সফল করতে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে যারা জীবন দিয়েছিল আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দাবি উত্থাপন করেছিল। ছয়দফা দাবির মূল বক্তব্য ছিল আমাদের দেশের মানুষকে সুরক্ষিত করা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষার দিক থেকে এই অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা। সেই সঙ্গে বাঙালির অস্তিত্বের দাবি তুলে ধরা। সেই দাবি তুলে ধরতে অনেকে বাধা দেয়। দুঃখের বিষয় হল বাংলাদেশের অনেক নেতাই তখন এ দাবি তুলে ধরতে বাধা দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ছয় দফা দাবির জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুকে আট বার গ্রেফতার করা হয়। সবশেষ ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর জামিন দেওয়া হয় নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এত দ্রুত কোনো জাতি কোনো দাবি এভাবে লুফে নিয়েছিল বলে আমি জানি না। এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল কারণ বাংলার মানুষ এটাকে তাদের বাঁচার অধিকার হিসেবে নিয়েছিল।