গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর নিখিল তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো. রেজাউলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের গোপালগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো. রেজাউলের নামে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১। ওই মামলায় কোটালীপাড়া থানার এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও মো. রেজাউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত মঙ্গলবার বিকেলে কোটালীপাড়ার রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ চারজন তাস খেলছিল। ওই সময় কোটালীপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান একজন ভ্যান চালক ও পুলিশের সোর্স মো. রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যায় এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করে।
তাস খেলতে থাকা ওই চার ব্যক্তি যখন দেখতে পায় তাদের খেলা মোবাইলে ধারণ করছে, তখন তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্য তিনজন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে শামীম হাসান ধরে মারপিট করতে থাকে এবং হাঁটু দিয়ে পিঠের মেরুদণ্ডে আঘাত করে। এতে নিখিলের মেরুদণ্ড তিন খণ্ড হয়ে যায়। আহতাবস্থায় স্বজনেরা তাকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত হয়।