সিআইডি’র সার্ভারে জঙ্গি, ধর্ষকসহ ২০ হাজার ডিএনএ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 06:13:24

২০১৭ সালে মৌলভীবাজার জঙ্গি বিরোধী অভিযান হয়। এ ঘটনায় ৩ জন জঙ্গির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে দুইজন জঙ্গি শনাক্ত হলেও একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পরিচালিত ম্যাক্সিমাস নামে পরিচিত এই অপারেশনে শীর্ষ জঙ্গি মুসার মরদেহ শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হয়।

মামলাটি পরবর্তীতে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএনএ ল্যাবের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে অশনাক্তকৃত বাকি একটি মরদেহের আলামত নিয়ে আসতে বলা হয়।

জঙ্গি মুসার মা সুফিয়া বেগমের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা (রক্ত) পরীক্ষা করে মরদেহের আলামতের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। ডিএনএ ক্রস-ম্যাচের মাধ্যমে জানা যায় জঙ্গি অশনাক্তকৃত ব্যক্তিই মুসা।

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, তাদের ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে ধর্ষণ, অজ্ঞাত মৃতদেহ শনাক্তকরণ, জঙ্গি, পিতৃত্ব বিরোধ/নিষ্পত্তি, ডাকাতি, হত্যাসহ প্রায় ৬ হাজার মামলার বিপরীতে ১৬ হাজারের এর অধিক আলামত হতে ২০ হাজার ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে। যা LIMS(Laboratory Information Management System) এর সার্ভারে সংরক্ষিত আছে।

সিআইডি আরো জানায়, ডিএনএ ব্যাংক বলতে বোঝায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত প্রতিটি ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল করা। ২০১৪ হতে ২০২০ পর্যন্ত মোট সংগৃহীত মামলার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। ডিএনএ ব্যাংক এ সংরক্ষিত অপরাধীদের প্রোফাইল পরবর্তীতে ওই একই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার সাথে সম্পর্কিত প্রায় ২০ হাজার প্রোফাইল ডিএনএ ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। যার মাধ্যমে পরবর্তিতে খুব সহজেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব।

তবে বর্তমানেবাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর ডিএনএ ল্যাবরেটরি নাম পরিবর্তন করে ডিএনএ ব্যাংক নামে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য দিয়েছেন সিআইডির বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসাইন।

সিআইডির দেওয়া তথ্যে বলছে, ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত সকল আলামতের বিশ্লেষণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে হয়ে থাকে। ডিএনএ ল্যাব সিআইডি এর সহায়তায় বাংলাদেশ পুলিশ অসংখ্য ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা সমাধান করতে সফল হয়েছে। বর্তমানে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব দেশের বিভিন্ন কোর্ট, থানা হতে আগত শতাধিক মামলা গ্রহণ করে থাকে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করে থাকে।

ডিএনএ এ সংরক্ষিত  ডিএনএ প্রোফাইল  সমূহ বিশ্লেষণ করে নিখোঁজ বা অজ্ঞাত কোন ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়। যদি অজ্ঞাত বা নিখোঁজ ব্যক্তির দাবিদার কিংবা আত্মীয়-স্বজন পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর