ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদ উল আজহা। পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) ভোর থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দাঁড়িয়ে, বসে অপেক্ষা করছে লঞ্চের জন্য। নেই কোনো টাইম শিডিউল। কেবল যাত্রী বোঝাই হলেই লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
ভোর থেকেই বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চাঁদপুর, ভোলা, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন রুটে ছাড়ছে শুরেশ্বর, মানসী, সুন্দরবন, পূবালী নামের লঞ্চগুলো।
তিন থেকে চারঘণ্টা অপেক্ষা করেও লঞ্চের দেখা পায়নি ভোলাগামী যাত্রীরা। অপেক্ষারত এসব যাত্রীরা জানান, তিন থেকে চার ঘণ্টা ধরে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে ভোগান্তি যাই হোক দিন শেষে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে পারাটাই আনন্দের।
ভোলা-চরফ্যাশন যেতে পরিবার-পরিজনসহ অপেক্ষা করছে শরিফুল আলম। সঙ্গে রয়েছে তিন বছরের শিশু। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও ফিরতে পারেননি গন্তব্যে। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিতে চাকরি করি। চাইলেই আগে যাওয়া সম্ভব হয় না। গতকাল ছুটি পেয়েছি। তাই আজ বাড়ি ফিরছি। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও ভোলাগামী কোনো লঞ্চ এখনো আসেনি। জানিনা কখন বাসায় ফিরতে পারব। বাচ্চাটার অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
এদিকে লঞ্চ কখন আসবে, কখন তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে এমন আশঙ্কায় হতাশার মধ্যে পড়েছে পটুয়াখালীর যাত্রীরা। রাবেয়া খাতুন। বয়স ষাটোর্ধ্ব। ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে নিয়ে ফিরছেন গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। লঞ্চ না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে বসে পড়েছেন পন্টুনের প্রবেশ পথে। তিনি বলেন, ‘দুইঘণ্টা ধরে বসে আছি। কখন লঞ্চ আসবে জানা নেই। এই মুহূর্তেও যদি রওনা করি পটুয়াখালী পৌঁছাতে রাত ১০টা বাজবে।’
কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারের ঈদ যাত্রা বিগত বছরগুলোর চেয়ে স্বস্তির। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছে। প্রয়োজনের তুলনায় লঞ্চ কম থাকায় ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।