লকডাউন এলাকায় নিত্যপণ্য সরবরাহে এটুআই ও ই-ক্যাবের উদ্যোগ

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 13:45:39

একটি অভিন্ন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করে লকডাউন এলাকায় এটুআই-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জনগণকে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বুধবার (১০ জুন) সকাল ১১টা থেকে রাজাবাজারসহ লকডাউন এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীদের চেকিং পেরিয়ে বেশকয়েকটি অনলাইন কোম্পানি তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়।

একশপ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে এই কার্যক্রম। ই-ক্যাব থেকে প্রত্যয়নপত্র ও নিরাপত্তা স্টিকার সংগ্রহ করে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই সেবা দেয়া শুরু করেছে।

নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন কর্মী ও স্বেচ্চাসেবকদের সহায়তায় তারা দূরত্ব বজায় রেখে এবং যথাযথভাবে পরিবহনগুলোকে স্যানিটাইজ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে অনলাইনে অর্ডার করা দিনের বাজার।

এ প্রসঙ্গে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, এই মহাদুর্যোগের শুরুতেই আমরা বলেছি ব্যবসা নয়, বিপদের দিনে মানুষের পাশে থাকতে চায় ই-ক্যাব। আমাদের সম্মানিত সদস্যদের সাথে নিয়ে আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করে চলেছি। এটা তারই অংশ। এটা পরীক্ষামূলক উদ্যোগ। যদি আরো বেশি এলাকা লকডাউন হয় তাতেও আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রয়েছে।

এটুআই-এর ই-কমার্স প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সে অনুযায়ী করণীয় ঠিক করছে। আমরা এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগে থেকে প্রস্তুত ছিলাম। জনসাধারণ যেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হাতের কাছে পায় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে মিলে একশপ ও ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিধি মেনে লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য পৌঁছাতে পারবে। পুরো ব্যাপারটা তদারকির মধ্যে হচ্ছে। এতে সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতা উভয় নিরাপদ থাকবে।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমাদের যেসব সদস্য কোম্পানি লকডাউন এলাকায় সেবা দিচ্ছে তাদের আমরা পূর্বেই একটি স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিধি পেশ করেছি। তারা সেটা অনুসরণ করে নিজেদের এবং ক্রেতাদের নিরাপদ রেখে কাজ করে যাচ্ছে। লকডাউন এলাকায় পুলিশের সাথে সিটি কর্পোরেশন কর্মী স্বেচ্চাসেবকেরা কাজ করছে।

তিনি সার্বিক সহযোগিতার জন্য এটুআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, আইসিটি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

রাজাবাজার এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরীক্ষামূলক লকডাউন সফল হলে একদিকে সকলে নিরাপদ হবেন অন্যদিকে সারাদেশে একই পক্রিয়ায় করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে আজ চালডাল, বাজারবন্ধু, সবজিবাজার ও সেতারাফার্মকে সকাল বেলায় ওই এলাকায় পণ্য সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫টির বেশি ভ্যান এবং ৬টি কাভার্ডভ্যান রাজাবাজারে দিনভর পণ্য সরবরাহ করেছে।

ই-ক্যাবের সদস্যভূক্ত ৬০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে লকডাউন এলাকায় সেবা দেয়ার অনুমতি পেয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান যারা গত আড়াই মাস ধরে সাধারণ ছুটি অবস্থায় সারাদেশে খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রবাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ই-ক্যাবের প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর