বোরো আর আমন মৌসুমে চাষিদের হিড়িক পড়ে খড় শুকানোর। আর এই কাজের জন্য বেছে নেয়া হয় শহর, গ্রাম-গঞ্জের পিচ ঢালা রাস্তাগুলোকে। তবে সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় ছোট বড় যানবাহনসহ পথচারীদের। এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে দিনাজপুরের হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কসহ গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায়।
হিলির বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, বোরো চাষিরা মাঠ থেকে ধান কেটে রাস্তায় রাখছেন। আবার সেখানেই ধান মাড়াই করে খড় রাস্তায় বিছিয়ে শুকাচ্ছেন। হিলি-ঘোড়াঘাটের ২৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে খড় বিছানো। এসব রাস্তায় অনেকটা আতংক নিয়ে যাতায়াত করছে পথচারীসহ যাত্রীরা। ইতিমধ্যে সাইকেল-মোটরসাইকেল খড়ে পিছলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। অন্যদিকে বাড়ছে যানজট।
কথা হয় হিলি সাদুরিয়া নামক সড়কে খড়ের পালার নিকট দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাক চালকের সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'হিলি থেকে ঘোড়াঘট যাওয়ার এই রাস্তা তো এমনিতেই ছোট। তারপর আবার মানুষ খড় শুকিয়ে রাস্তায় পালা করে রেখেছে। এমন অবস্থায় দুইটি গাড়ি কিভাবে আসা-যাওয়া করবে। এতে করে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
একজন অটোচালক বলেন, যেভাবে রাস্তায় খড় বিছিয়ে রেখেছে, কখন যে কি হয়। গাড়ি জোরে টানতে পারছিনা। ব্যাটারির চার্জও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।
মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, খড় তো পিচ্ছিল, গাড়ি চালাতে ভয় হচ্ছে। আবার বৃষ্টি হলে আরো পিচ্ছিল হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে একটুর জন্য এই রাস্তায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি।
একজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন, 'ধানের সময় হলেই এই রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়। চলাচলে খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি'।
এবিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ধান চাষিরা এভাবে রাস্তায় খড় রাখতে বা শুকাতে পারে না। আমি নিজেই বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি নিয়ে হ্যান্ড-মাইক দিয়ে প্রচারণা করেছি। রাস্তায় খড় শুকানো আইনিয় দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।