শেষ মুহূর্তে কমেছে গরুর দাম, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

জেলা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 00:18:37

ঢাকা: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল অাজহা। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) পশু কেনা বেচার শেষ দিন। ফলে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। গতকাল সোমবার (২০ আগস্ট) রাত থেকেই গরু কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে শুরু থেকেই পশুর দাম চড়া থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে গরুর দাম কমেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতারা।

সরেজমিনে আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। হাটে সারাদেশ থেকে আসা কোরবানির পশুতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। তবে বিক্রেতারা তাদের আশা অনুযায়ী দাম পাচ্ছে না। আর ক্রেতারা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম দামে তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে পারছেন।

বগুড়া থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এসেছেন মফিজুল ইসলাম। এখন পর্যন্ত তিনটি গরু বিক্রি করতে পারলেও অবিক্রিত রয়ে গেছে ১৩টি গরু। বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, গত দুইদিনে অনেকেই গরুগুলোর ভালো দাম বললেও আজ তা বলছেন না। অতিরিক্ত গরুর আমদানি হওয়ায় ক্রেতারা ভালো দাম বলছেন না বলে জানালেন তিনি।

বরিশাল থেকে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন মো: রিয়াজুল। বিকাল পর্যন্ত দুইটি গরু বিক্রি হয়েছে তারা। ঈদের বাকি আর একদিন, তাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই বিক্রেতা। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, “১০ টার মইদ্যে দুইডা গরু বেচলাম। গত কয়দিন ভালোই দাম উঠছিলো, কিন্তু বেচি নায়। আইজকা তো কােন দামই কইতাছে না। এই গরু ফেরত নেওয়া লাগলে আমার পথে বওন লাগবো।”

হাজী সেলিম উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাটে গরুর দাম অনেক কম। গতকাল এসেছিলাম, কিন্তু অনেক দাম হওয়ায় ফিরে গেছি। কিন্তু আজকে দেখছি দাম একেবারেই কম। গতকাল যেই গরু ১ লাখ টাকায়ও ছাড়েনি, সেগুলো আজ ৭০ হাজারেই পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, লোকসান হলেও সব গরু বিক্রি করতে চান তারা। কোনভাবেই গরু ফেরত নিয়ে যেতে চান না তারা। প্রতি গরুতে ক্রেতারা ৫ থেকে ১০ হাজার কম বললেও বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। তবে দু'একজন বিক্রেতা হাট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলে পশু ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

এই চিত্র খাসি বিক্রিতেও। ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও তেমন একটা দাম বলছেন না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, খাসি প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন তারা। গতকালও অনেকে ভালো দাম বলেছিল। কিন্তু আজকে হাটে অনেক খাসি রয়েছে, ফলে ক্রেতারা শেষ দিনে এসে খুব হিসেব করেই দাম বলছেন।

রোজিনা আক্তার নামে এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, কিছুক্ষণ যাবৎ ঘুরে দেখলাম, খাসির দাম এখনও বিক্রেতারা বেশি চাচ্ছেন। তবে দামটা আগের চেয়ে কিছুটা কমই মনে হচ্ছে। প্রতিবেশিরা যে দামে খাসি নিয়েছে, এখানে এসে তার চেয়ে দু'এক হাজার টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একটু কম দামেই খাসি কিনতে পারব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর