নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান (৪০) নিহত হয়েছেন।
নিহত মিজান সোনাইমুড়ী উপজেলার নাওতলা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে।
রোববার (১৪ জুন) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ১ নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছাতারপাইয়া বাজারের পাশের সোনাকান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ সদস্য রসুল মীর, পিয়াস সরকার ও পিপল আহত হন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, রোববার বিকেলে ধর্ষণ মামলার আসামি মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে তাকে নিয়ে তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযানে যায় পুলিশ। পথে ছাতারপাইয়া বাজারের কাছে সোনাকান্দী এলাকায় পৌঁছলে মিজানের সহযোগীরা অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে মিজানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে মিজানের সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ অবস্থায় মিজানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদের সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়খালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।