বৈষম্যমূলক শুল্ক নীতির কারণে বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এমন অভিযোক করেন তারা।
বিড়ি শিল্পের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ককে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এমকে বাঙ্গালী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেটে বিড়ির মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধির ফলে ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ শতাংশ। পাশাপাশি বিড়ির সমগোত্রীয় পণ্য নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি ও সম্পূরক শুল্ক ২ শতাংশ বৃদ্ধির পরও ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৮.৪২ শতাংশ। যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তাতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এ বৈষম্যমূলক শুল্ক বৃদ্ধি আমরা মানি না। অচিরেই এ শুল্ক কমাতে হবে। তা না হলে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জে অবস্থিত ‘তালা বিড়ির’ মাধ্যমে স্বাধিকার আন্দোলনের পাশাপাশি মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিড়ি শিল্পকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। গরিব দুঃখী মানুষের শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোর জন্য বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের বাজেটেও বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত করারোপ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিক নেতারা বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর দিয়েছেন।