লক্ষ্মীপুর: আজ ঈদুল আজহা। সারাদেশে চলছে ঈদ উৎসব। ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত ছিল সবাই। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলের অসহায় মানুষদের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ। তারা দিতে পারেনি কোরবানি কিংবা ছেলেমেয়েদের নতুন পোশাক।
আকাশে ঈদের চাঁদ উঠলেও তারা আলোকিত হয়নি। উল্টো তাদের আকাশে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। তারাও অন্যদের মতো ঈদে আনন্দ করতে চায়। ঈদের আনন্দ তারাও খুঁজে বেড়ায়।
জেলা সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগরে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে সর্বস্ব হারা উপকূলের মানুষগুলো ঈদের আনন্দে নিজেদের শামিল করতে পারেনি। এদের বেশিরভাগই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু নদীতে মাছ ধরা না পড়ায় এখন দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। এরমধ্যে ঈদ এসেছে। কিন্তু ছেলেমেয়েদের নতুন পোশাক দিয়ে মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি তারা।
আয়েশা, শরীফ, হামিদসহ কয়েকজন উপকূলীয় শিশু বলে, ‘নোয়া কোত্তা-কাড় ছাড়া ঈদ অয় না। আঙ্গো নোয়া কোত্তা-কাড় নাই। আঙ্গো ঈদও নাই। এডাও আঙ্গোর লাই অন্যদিনের লাইন। অন্যসম যা করি ঈদ আইলেও হেডা করি। নদীর হাড়ে ধারুয়া (লাকড়ি) টোগাই। মাঝে মধ্যে ঠেলা জাল দি নদীতে মাছ ধরি।’
লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদী এলাকার জেলে শফিক আহমেদ বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন নদীতে গিয়ে অল্প কিছু মাছ পেয়েছি। তেল খরচের টাকা রেখে বাকি টাকা দিয়ে চাল কিনেছি। ঈদে ছেলেমেয়েদের জন্য কোনো কাপড়-চোপড় কিনতে পারিনি। এই অসহায়ত্বের কথা আমাদেরকেই ভাবতে হয়। কেউ আমাদের অসহায়ত্বের গল্প শুনে না।’