খুলনায় ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের প্রহারে ডা. আব্দুর রাকিব খানের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, গত রোববার (১৪ জুন) খুলনার মোহাম্মদনগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর প্রসূতি স্ত্রী শিউলী বেগমকে সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দিনই বিকেল ৫টায় তার সিজার করা হয়। অপারেশনের পরে বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থই ছিলো। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সোমবার (১৫ জুন) সকালে রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) রেফার্ড করা হয়। খুমেকের চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার রাতে শিউলী বেগম মারা যান। এ ঘটনার পরে সেদিন রাতেই রোগীর স্বজনরা রাইসা ক্লিনিকে গিয়ে ক্লিনিক মালিক ডা. রাকিবকে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার মাথার পেছনে মারাত্মক জখম হয়। ডাক্তারকে প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খুলনা প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, রোগীর স্বজনদের হামলায় রাইসা ক্লিনিকের মালিক ডা. রাকিব খানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ মারা যান। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, রোগীর স্বজনদের হামলায় চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো মামলা হয়নি। অভিযুক্তদের এখনো পাওয়া যায়নি।