করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে তার মধ্যে জোন ভিত্তিক লকডাউন উত্তম পন্থা বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি, করোনা রোগীর ঘনত্ব বেশি—সেই জায়গা নিয়ন্ত্রণ করলে আমরা সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সংক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাব।
বুধবার (১৭ জুন) রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত পূর্ব রাজাবাজার এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে ক্লাস্টার বা লকডাউন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে প্রথমেই পূর্ব রাজাবাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটার ওপর নির্ভর করবে পুরো ঢাকা ও বাংলাদেশের লকডাউন করার অঞ্চল ভিত্তিক ক্লাস্টার। এটা উদহারণ হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, মেয়র এখানে অ্যাম্বুলেন্স রেখেছেন, যাতে করে কোনো রোগী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হসপিটালাইজড করা যায়। আবার যাদের ঘরে খাবার নেই তাদের বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা নিজেরা কিনতে পারছেন তাদের বিভিন্নভাবে সমাগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় এরকমভাবে যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি, ঘনত্ব বেশি সেই জায়গা নিয়ন্ত্রণ করলে আমরা সারা বাংলাদেশের ব্যাপক সংক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাব।
পুরো ঢাকা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বিশাল বিশাল এলাকা আমরা এভাবেই চেষ্টা করব। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সমস্ত পদ্ধতি ও জ্ঞান তাতে এটাই সব থেকে উত্তম পন্থা।
পুরো দেশে লকডাউন করে সুফল পাওয়ার বিষয়ে ইউরোপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তারাও ফ্লাইট চালু করেছে, ট্রেন চালু করেছে; সেখানেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারাও মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, জীবনযাত্রা এবং আগামী দিনের ভবিষত—সবকিছু চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের পরিকলপনা নিচ্ছে, বাস্তবায়ন করছে, আবার সংশোধনও করছে। আমরাও এ প্রক্রিয়াটাকে সফল বলেই মনে করি।