বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নৌবহরে সংযোজিত হলো নতুন করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ‘সংগ্রাম’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চট্টগ্রামস্থ নৌ জেটিতে বানৌজা সংগ্রাম এর কমিশনিং অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে জাহাজটি কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নৌবহরে সংযোজিত হলো নতুন করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’।
উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে জাহাজটি কমিশনিং করেন। কমিশনিং শেষে জাহাজটি আগামীকাল ১৯ জুন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। লেবাননের ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। নতুন এ যুদ্ধজাহাজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের সমুদ্রসীমা পেরিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে জাহাজের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এফ এম আরিফুর রহমান ভূঁইয়ার হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করল। কমিশনিং ফরমান তুলে দেওয়ার পূর্বে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে একটা অস্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যে এই অনুষ্ঠানটা হলো, তারপরও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সবার সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত।
এরপর তিনি নৌবাহিনীর প্রধান বাংলা সংগ্রামের ক্যাপ্টেন আরিফুর রহমানের নিকট কমিশনিং হস্তান্তর করেন। কমিশনিং হস্তান্তর শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা এস এম মাহবুবুর রহমান।