খুলনায় পশুর হাটে রাজস্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 18:31:38

খুলনা: জেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশুর হাট জোড়াগেটে এবার রাজস্ব আয় প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এতে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের।

জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত জোড়াগেট পশুর হাটের উদ্বোধন করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে হাটে পশু বিক্রি শুরু হয় পরদিন। প্রতিবারের মতো হাট শেষ হয় ঈদের রাতে।

রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত কোরবানির পশুর হাট থেকে কেসিসির রাজস্ব আয় হয়েছে এক কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮১টাকা। এবার পাঁচ হাজার ৩৮২টি গরু, এক হাজার ৬৪২টি ছাগল ও আটটি ভেড়া বিক্রি হয়েছে খুলনার এ সর্ববৃহৎ কোরবানির পশুর হাটে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

গত বছর ২০১৭ সালে পশুরহাটে হাসিল (রাজস্ব) আদায় হয়েছিল দুই কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৩ টাকা। বিট মূল্যের চেয়ে ৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আয়ে রেকর্ড গড়েছিল কেসিসি। গত বছর পশু বিক্রি হয় ৮ হাজার ৪০৩টি, এরমধ্যে ৬ হাজার ৭৩৭টি গরু, এক হাজার ৬৫৭টি ছাগল ও ভেড়া ছিল নয়টি।

২০১৬ সালে হাসিল আদায় হয়েছিল এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ টাকা। ওই বছর পশু বিক্রি হয়েছিল ৯ হাজার ২৪৪টি। যার মধ্যে গরু ছিল ৭ হাজার ৬২৭টি, আর ছাগল ছিল এক হাজার ৬১২টি ও ভেড়া ছিল পাঁচটি।

২০১৫ সালে হাসিল আদায় হয় এক কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৩০ টাকা। আর ২০১৪ সালে ১০ হাজার ১৫৫টি কোরবানির পশু বিক্রি থেকে কেসিসির রাজস্ব আয় হয়েছিল এক কোটি ৫৪ লাখ ৪২ হাজার ৪২০ টাকা।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রভাবশালীরা হাসিল না দিয়ে পাশ দেখিয়ে কোরবানির পশু নিয়ে গেছে। তবে সাধারণ মানুষ হাসিল দিয়েছে। বিক্রেতাদের যোগসাজশে হাসিল না দিয়ে হাটের বাইরে নিয়ে গেছেন অনেক ক্রেতা। তাছাড়া আদায়কৃত হাসিলের অর্থও তছরুপের অভিযোগ করেন একাধিক সূত্র।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাট কমিটির আহ্বায়ক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন। তিনি জানান, হাট জমেছিল, তবে বিক্রি কম হয়েছে। এজন্য রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাট ব্যবস্থাপনা হওয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই ।

প্রসঙ্গত, এ হাট ছাড়াও খুলনায় আরও ২৭টি কোরবানির পশুর হাট বসেছিল জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর