খানাখন্দে ভরা হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক

, জাতীয়

মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হিলি (দিনাজপুর) | 2023-08-29 06:49:26

দিনাজপুরের হিলি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর। এ বন্দরে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। কিন্তু বন্দরের প্রধান সড়কের বেহাল দশা। সড়কটিতে খালেখন্দে ভরে যাওয়ায় যানবহনসহ এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ৪০ থেকে ৪২ টন পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো এই রাস্তা দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। যার কারণে সহজেই সড়কটিতে খালখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

হিলি চারমাথা পোর্ট থেকে দক্ষিণে রাজধানী মোড় প্রধান সড়ক দিয়ে কোচ, বাসসহ ভারি ওজনের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করে। ১০ চাকা ট্রাকগুলোতে ৪০ থেকে ৪২ টন পাথর নিয়ে এই সড়কে চলাচল করে। অন্য দিকে ১৫ থেকে ২০ ওজনের পণ্যবাহী ট্রাকসহ কোচ বাস যাতায়াত করছে। ছোট এবং ধারন ক্ষমতা কম এই রাস্তার। যার জন্য ভারি ওজনের যানবহনের কারণে সহজেই সড়কটি ভেঙে পড়ছে। চারমাথা থেকে রাজধানী মোড়ের রাস্তাটির বেহালদশা। বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙে খাদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভয় আর ভীতি নিয়ে চলাফেরা করছে সব ধরনের যানবহনসহ পথচারীরা।

চারমাথা থেকে রাজধানী মোড়ের রাস্তাটির বেহালদশা

কথা হয় যাত্রীবাহী বিআরটিসি গাড়ি চালকের সাথে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দিনাজপুর থেকে বগুড়ায় এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। যাত্রী নিয়ে এই রাস্তায় চলাফেরা বিপদজনক মনে হয়। বেশ কয়েক জায়গায় বড় আকারের গর্ত রয়েছে, সেখানে পার হতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানুসিক ক্ষতি হচ্ছে।

৪০ টন পাথর বোঝায় ট্রাকচালকের সাথে কথা হয় সে বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাস্তার যে অবস্থা ভাই, কখন কি হয়? ভাঙা-চুরা সড়ক গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় লাগে। বিকল্প কোনো ভাল রাস্তা নেই বিধায় এই রাস্তা দিয়েই চলতে হচ্ছে।

একজন ভ্যান চালক বার্তা২৪.কমকে জানান, এতোই রাস্তা খারাপ, ভয়ে হিলির চুড়িপট্টির ছোট রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে গেলে যাত্রীদের খুব কষ্ট হয়।

বেশ কয়েক জায়গায় বড় আকারের গর্ত রয়েছে

একজন পথচারী ও স্থানীয় আলী হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই রাস্তা এখন আর চলাফেরার মতো উপযোগী নেই। রাস্তার পাশে আমার বাড়ি। বাড়ি থেকে বের হয়ে এই সড়ক দিয়ে যেতে পারছি না। খালখন্দে ভরে গেছে। তাই বিকল্প পথ দিয়ে যাতাযাত করতে হচ্ছে।

এবিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বার্তা২৪.কমকে জানান, হিলির প্রধান সড়কগুলো মতো দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এ যাবত অনেকবার কর্তৃপক্ষের নিকট এই সড়কের বিষয়ে তুলে ধরা হয়ে ছিলো। তবে শনিবার (২১ জুন) দিনাজপুর জেলার উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মাসিক আলোচনা সভায় হিলির সড়কের বেহাল অবস্থা ইঞ্জিনিয়ারের নিকট তুলে ধরবো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বার্তা২৪.কমকে জানান, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের হিলির এই রাস্তা। ইতোমধ্যে তাদের সাথে আমি কথা বলেছি। তবে আজ বন্দরের যে সব রাস্তা খালখন্দে ভরে গেছে সেগুলো ভরাট করে যানচলাচলের উপযোগী করে তুলবো।

তিনি আরও জানান, জয়পুরহাট থেকে হিলি সিপি পর্যন্ত সড়কের যে কাজ শুরু হয়েছিল তা করোনার কারণে বন্ধ ছিলো। আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেছি, খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তার নির্মাণের কাজ শুরু করবেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর