ঠাকুরগাঁও: ‘অল্প বৃষ্টিতেই সেনুয়া নদীর উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি এখন পানিতে ডোবার পথে। সাঁকোটি ডুবে গেলে আমরা ১০ ইউনিয়নের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ কীভাবে যাতায়াত করবো? আমাদের এই বিপদ কী দেখার কেউ নাই?’
শুক্রবার সকালে ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বরুনাগাঁও এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেনুয়া নদীতে পানি বেড়ে গেছে। এতে প্রায় ডুবে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছে কাঠের সাঁকোটি। এ কারণে চিন্তিত সকলে। কষ্টের মধ্যে খুব সাবধানে সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের ৮ তারিখে রাতের দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের বরুনাগাঁও নামক স্থানে মালবাহী ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে যায় স্বপ্নের সেই সেনুয়া বেইলি ব্রিজটি। এর ফলে বিপাকে পড়ে ১০টি ইউনিয়নের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজটি ভেঙে যাবার পর অসহায় হয়ে পরে সেখানকার স্থানীয়রা। এরই লক্ষে রাস্তা পারাপারের জন্য বানানো হয় একটি কাঠের সাঁকো। কিন্তু এখন বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় সাঁকোটি ডুবে যাওয়ার পথে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন,‘অল্প বৃষ্টিতেই আজ কাঠের সাঁকোটি ডুবে যাওয়ার পথে। যদি এটার কোনো ব্যবস্থা না করা হয় হয়তো শহরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হবে।’
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই কাঠের সাঁকোতে এভাবে পানি ওঠার ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হয়ে গেল। এপার থেকে ওপারে কী করে মালামাল নিয়ে যাব তার চিন্তায় আছি।’
সালন্দর ইউনিয়নের চেয়াম্যান মাহাবুব আলক মুকুল বলেন, ‘কাঠের সাঁকোটির উপরে এভাবে পানি উঠে যাওয়াতে সাধারণ জনগণ অনেক বিপাকে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এটার একটা স্থায়ী সামাধান বের করার। যাতে করে সাধারণ জনগণ বিপদের মুখ থেকে বের হতে পারে।’
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মণ জানান, ইতোমধ্যেই সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি কমলে আবারো কাজ শুরু হবে।