বৈশ্বিক মহামারি করোনাকাল বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যশোরে স্বল্প পরিসরে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব বাবা দিবস।
‘আজি শুভ দিনে পিতার ভুবনে অমৃত সদনে চলো যাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যশোরে পঞ্চমবারের মতো বাবা দিবস উদযাপিত হয়।
রোববার (২১ জুন) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শ্রমজীবী ৫ বাবাকে সম্মাননা জানানোসহ স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। স্বল্প আয়ের মধ্য দিয়ে একাধিক সন্তানকে শিক্ষিত করে তুলেছেন এমন বাবাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে । বর্তমানে সেসব সন্তানরা চিকিৎসক, শিক্ষকসহ নানা পেশায় যুক্ত আছেন।
সম্মাননাপ্রাপ্ত বাবারা হলেন- যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা স্বপন শেখ, বেজপাড়া শ্রীধর পুকুর পাড় এলাকার স্বর্ণ কারিগর বিষ্ণু দাস, সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের নছিমন চালক কবির হোসেন, বেজপাড়া বনানী রোডের ফল বিক্রেতা অজিত কুমার পাল এবং রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শফিক ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্য প্রয়াত একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক কামাল লোহানীসহ করোনাকালে (বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, ডাক্তার, পুলিশ, নার্স) যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শোকজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- যশোর পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুণ অর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য দেন- বিশ্ব বাবা দিবস উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব প্রণব কুমার দাস।
অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত বাবারা জানান, বিনা স্বার্থে সন্তানদের লালন-পালন করেছেন। বাবা হিসেবে এমন সম্মাননা পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন। একই সঙ্গে সব বাবা-মাকে তাদের সন্তানকে শিক্ষিত করে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।