শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট কোম্পানিগুলোর দূরাবস্থার কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেছেন, এই খাতে সুষম বণ্টন না হওয়ায় বড় কোম্পানিগুলো আরও বড় হচ্ছে, অন্যদিকে ছোট কোম্পানিগুলো রুগ্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
মির্জা আজম বলেন, আমাদের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সিগারেটের বাজারের রাজস্ব আয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নানান অভিযোগ ও দাবি উঠে আসছে। এই খাতে সুষম বণ্টন না হওয়ায় বড় কোম্পানিগুলো আরো বড় হচ্ছে অন্যদিকে ছোট কোম্পানিগুলো আরো ছোট হয়ে যাচ্ছে। ছোট কারখানাগুলো রুগ্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে, ব্যাংক ঋণের টাকা অনাদায়ী হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা নিরসনে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে `নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন' শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানীর জন্য রিজার্ভ রাখার প্রস্তাব দিলে তা সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। কিন্তু সংসদের অনুমোদিত এই নীতি এখনও বাস্তাবায়ন হয় নি। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছে।
দেশীয় সিগারেট কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর জন্য ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন শুধুমাত্র শতভাগ দেশীয় কোম্পানীর জন্য রিজার্ভ রাখার প্রস্তাব করেন মির্জা আজম।