পটুয়াখালীতে ব্রিজ নির্মাণ: গ্রাম হবে শহর,স্বাভাবিক প্রবাহে ফিরবে খাল

, জাতীয়

আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী | 2023-08-27 08:51:52

বর্তমান সরকারের নানমুখী উদ্যোগের ফলে দেশের দক্ষিণের জনপথ পটুয়াখালী শহর এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে চলছে নানামুখী উন্নয়ন কাজ।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পায়রা সমুদ্র বন্দর, একাধিক তাপ বিদুৎ কেন্দ্র, শেখ হাসিনা সেনা নিবাস, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। পাশপাশি কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র তো রয়েছেই।

সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে জেলা শহরটি এখন অনেকটাই ব্যস্ততম একটি শহরে পরিণত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে অদূরেই থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুরে আদলে একটি উন্নত শহরে পরিণত হবে পটুয়াখালী। এমন পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে পটুয়াখালী জেলা শহরের সাথে এর আশপাশের ইউনিয়নগুলোকে আরও কাছাকাছি সংযুক্ত করতে বেশ কিছু আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ(এলজিইডি)।

মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সাথে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুরিরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রিজ নির্মিত হবে

পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছত্তার জানান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নকে জেলা সদরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করার পাশপাশি জেলার ঐতিহ্যবাহী বহালগাছিয়া খালকে আবারও তার স্বাভাবিক অস্থায় ফিরিয়ে আনতে সদর উপজেলার পেছনের বাঁধটি অপসারণ করে সেখানে ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে বহালগাছিয়া খালের ওপর নির্মিত গরুর বাঁধ অপসারণ করে সেখানেও ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। যা অনেকটা হাতিরঝিলের ব্রিজগুলোর মতো দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন করা হয়েছে।

দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ

এছাড়া মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের সাথে পটুয়াখালী পৌর শহরকে সংযুক্ত করতে কুরিরখাল এলাকায় একটি ৪৫ মিটারের ব্রিজ নির্মিত হবে। এর ফলে জেলা শহরের সাথে ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই, মরিচবুনিয়া এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নতুন একটি সংযোগ স্থাপিত হবে। একই ভাবে পটুয়াখালী পৌরসভার সাথে কালিকাপুর ইউনিয়নের নতুন সংযোগ স্থাপন এবং ফুলতলা খালটি প্রবাহমান করতে বাঁধ অপসারণ করে সেখানে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্ব বিবেচনা করে মোট ১২টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ইতি মধ্যে টেন্ডার আহবান করে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হচ্ছে। এ সকল ব্রিজ নির্মিত হলে এই অঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ যেমন সহজ হবে পাশপাশি খালগুলো আবারও তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে পাবে, খালের দখল হওয়া জমি পুনরুদ্বার করে কৃষি কাজে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

খাল ও জলাধারগুলোকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই ব্রিজগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আইবিআরপি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই জানান, প্রধানমন্ত্রীর শতবর্ষ পরিকলল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিতে গ্রামেও শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং খাল ও জলাধারগুলোকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই ব্রিজগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার হচ্ছে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর