কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) ভোর ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারীতে ৭১ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারীতে ৬ ও নুনখাওয়ায় ৪ এবং ধরলায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলার ৩৫ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। নলকূপ তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে আশ্রয় নেয়া স্থানীয় কাশেম ও নুর ইসলাম বলেন, ‘গত দুইদিন ধরে বন্যার কারণে পরিবার নিয়ে সড়কের উপরে আশ্রয় নিয়েছি। খাওয়া-দাওয়া, এমনকি রাতে ঘুম নেই কারো চোখে। এভাবে থাকতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ থেকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত জেলায় বন্যার পানিতে ৬ হাজার ৮শ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য জেলায় ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।