গাইবান্ধায় ধীরগতিতে কমছে পানি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-24 11:37:37

গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ৩ দিনে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়েনি। একই সঙ্গে ধীরগতিতে কমছে পানি। তবে পানি কমলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বিভিন্ন বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া মানুষরা।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে ৭৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

যা গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার ছিল।

জানা যায়, বন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে ৫০৪ পুকুরের দুই কোটি টাকা মূল্যের মাছ। একই সঙ্গে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে নদ-নদীর পানি কমলেও বসতবাড়িগুলোতে এখনো হাঁটু পানি জমে রয়েছে। এ কারণে আশ্রিত মানুষরা এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি। তারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। টয়লেট সমস্যাসহ বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে বন্যা দুর্গতরা।

ভাষারপাড়া বাঁধে আশ্রিত আজাহার আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানির নিচে রয়েছে। সবকিছু হারিয়ে বিপাকে পড়েছি। গত ৭ দিন ধরে এই বাঁধে আশ্রয় নিলেও কেউ সহায়তার হাত বাড়ায়নি।’

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর