১২ মাস পানি থাকে এই সড়কে, দুর্ভোগ চরমে

, জাতীয়

মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা) | 2023-08-30 04:27:36

দেশের সর্বোচ্চ জনবহুল এলাকা শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়া। এখানে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠার দরুণ অসংখ্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব এলাকায় কর্মের আশায় পাড়ি জমিয়েছে মানুষ। এর মধ্যে সিংহভাগ শ্রমিক বাস করে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায়। এদের প্রতিদিনই পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কারণ আশুলিয়ার সড়কে সারা বছরই হাঁটুপানি থাকে।

আশুলিয়ার জামগড়া চৌরাস্তা থেকে জামগড়া-বাগবাড়ি-কাশিমপুর সড়কটির বেহাল দশা প্রায় ৫ বছর ধরে। এটি এলাকার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজার হাজার শ্রমিক। যারা চরম দুর্ভোগ উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন সংগ্রাম। বৃষ্টিহোক বা না হোক ১২ মাসই বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে আসা ময়লা পানির নিচে থাকে সড়কটি। মোটরসাইকেল নয়তো রিকশা ছাড়া এই সড়ক পাড়ি দিতে পায়ের জুতা হাতে নিতে হয়।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় দেড় কিলোমিটার খানাখন্দে ও পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিকসহ এলাকাবাসী। খানাখন্দ ভরা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করছে শ্রমিকরা।

পানিতে ডুবে রয়েছে সড়ক।

এক ঘণ্টার সময় পেয়ে কারখানা থেকে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় ফিরছেন রোজিনা। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি প্রায় ৫ বছর ধরে এই এলাকায় ভাড়া থেকে কাজ করছি। সবসময় এই সড়কে পানি থাকে। দুপুরের খাবার সময়ে বাসায় ফিরে খেয়ে কাজে যোগ দিতে অনেক কষ্ট হয়। প্রায়ই দুর্ঘটনার দৃশ্য চোখে পড়ায় রিকশা ভ্যানেও যেতে ভয় করে। শ্রমিকদের স্বার্থে সড়কটি মেরামতের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

অপর শ্রমিক সাবিনা বলেন, ‘এই রাস্তার উপরে থাকা নোংরা পানির মধ্য দিয়ে আমাদের সব সময় চলাচল করতে হয়। এ কারণে আমাদের পানিবাহিত রোগে ভুগতে হয়।’

রিকশা চালক বিপ্লব বলেন, ‘এই সড়কে রিকশা চালালে প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। দুই একদিন পরপর মেরামত করা লাগে। খানাখন্দে পড়ে রিকশার রিং বাকা হয়ে যায়, বিয়ারিং নষ্ট হয়। এই সড়কে রিকশা চালালে এখন লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ভাবছি এই সড়কে আর রিকশা চালাব না।’

বছরের ১২ মাসই পানিতে ডুবে থাকে এই সড়ক।

এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, ‘এই রাস্তার কারণে আমরা নামাজ পড়তেও যেতে পারি না। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল দশা। কিন্তু তা দেখার যেন কেউ নেই।’

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে উপজেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করা হবে। সড়কটির বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।’ পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থার দিকে স্থানীয়দের নজর রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর