লক্ষ্মীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডেকে এনে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আকবর হোসেনকে মারধর করা হয়েছে। সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেলে ভুক্তভোগী আকবর হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী বাজারে চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আকবর হোসেনকে ডেকে আনেন। এ সময় ফেসবুকে অপ-প্রচারের অভিযোগ এনে আকবরকে মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় আকবরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
আহত আকবর দিঘলী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পশ্চিম দিঘলী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক খানের ছেলে।
সূত্র জানায়, আকবরদের পাঠান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিরাপত্তা দেয়ালের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসে। কিন্তু চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর সেই বরাদ্দটি নিজের পারিবারিক কবরস্থানে ব্যয় করেন। এ নিয়ে ফেসবুকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি স্ট্যাটাস দেয় কে বা কারা। এ ঘটনায় চৌকিদার টিটুর মাধ্যমে আকবরকে তার পশ্চিম দিঘলী বাজারে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডেকে আনেন শেখ মজিবুর। অচেনা নামে ওই ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসটি আকবর দেননি বলে জানালেও চেয়ারম্যান বিশ্বাস করেননি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আকবর হোসেন বলেন, ‘কে বা কারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে তা আমি জানি না। এ ঘটনায় আইসিটি মামলা করার জন্য আমি চেয়ারম্যানকে বলেছি। এরপরও তিনি আমাকে মারধর করেছেন। ঘটনাটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতসহ বিচারের দাবিতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান বলেন, আকবর নামে-বেনামে ফেসবুক আইডি খুলে আমিসহ মানুষের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধেও অপ-প্রচার চালায়। এ ঘটনা নিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তাকে মারধর করার ঘটনাটি সত্য নয়। এছাড়া করোনাকালীন আকবর দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছে।’