সমুদ্রপাড়ে জমজমাট ঝিনুক ব্যবসা

চট্টগ্রাম, জাতীয়

মুহিববুল্লাহ মুহিব, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন | 2023-08-31 05:31:22

কক্সবাজার: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে অর্ধকোটি টাকার ব্যবসা করেছে কক্সবাজারের শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ীরা। ঈদের টানা ৫ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক আসার কারণে এমন ব্যবসা করতে পেরেছে বলে জানিয়েছে শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ীরা। এবারের ঈদুল আজহায় সর্বোচ্চ ব্যবসা করেছে অনেকেই।

কক্সবাজার শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, জোয়ারের পানিতে সাগর তীরে ভেসে আসে লাখ লাখ শামুক-ঝিনুক। এগুলো দিয়ে শিল্পীরা তৈরি করে মালা, দুল, পুতুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, ক্লিপ, ওয়ালমেট, ল্যাম্পশেড ও ঝাড়বাতি। এগুলো তৈরি করে সচ্ছল হয়েছে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিনের হাজারো পরিবার। কক্সবাজারের এসব উপকূলীয় পয়েন্টে ভেসে আসে ৫০ থেকে ৬০ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক।

ঝিনুক কিনেছেন যশোর থেকে আসা যুবক সাইদুল করিম। তিনি বলেন, ‘আমি একটি শামুক কিনেছি। তার মধ্যে আমি সমুদ্র ভ্রমণ ২০১৮ লিখে কক্সবাজারের স্মৃতি হিসেবে নিয়ে যাব।’

ঝিনুকের একটি মালা কিনেছেন ঝিনাইদহ থেকে আসা পর্যটক সাদিয়া আফরিন। তিনি বলেন,‘মালাগুলো খুব সুন্দর। তাই একটি মালা নিয়েছি। পরেরবার আসলে হয়তো আরও কিছু নিয়ে যাব। শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি সব কিছুই দেখতে খুব সুন্দর।’

ঝিনুক ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘গত ২-৩ বছরের চেয়ে এ বছর কোরবানির ঈদে শামুক-ঝিনুক ব্যবসা ভালো হয়েছে। ঈদুল আজহায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারলাম। আমরা ঈদের ৬ দিনে প্রায় দুই লাখ টাকার বেশি কেনা-বেচা করেছি।’

সুগন্ধ্যা পয়েন্টের ঝিনুক ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আগে তেমন বিক্রি হতো না। কিন্তু এবার ঈদে হঠাৎ করে ব্যাপক ঝিনুক ও শামুক কিনেছে পর্যটকরা। তাই এবার সবচেয়ে বেশি ঝিনুক-শামুক বেচা হয়েছে। আমি প্রায় দেড় লাখ টাকার ঝিনুক বিক্রি করেছি।’

লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী মিরাজ আহমদ বলেন, ‘যারা শামুক কিনছেন তারা অনেকেই সেটার উপর কিছু অঙ্কন করে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে অঙ্কন করে দেয়ার শ্রমিকও রয়েছে।’

কক্সবাজার শামুক-ঝিনুক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরে আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে ছোট-বড় শতাধিক ব্যবসায়ী। যারা বেশিরভাগ সময় লোকসানে থাকত। কিন্তু এবার কোনবানির ঈদে বিপুল সংখ্যক পর্যটক শামুক-ঝিনুক ক্রয় করেছে। তাই ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা করতে পেরেছে। এতে ১ জন ব্যবসায়ী গড়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করেছে। আসা করছি আগামীতে আরও বেশি ঝিনুক-শামুকের বিক্রয় বাড়বে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর