চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি আশঙ্কাজনক হারে সঞ্চয় প্রবণতা হ্রাস পাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে নাটোর জেলার সাড়ে ৭শ' সমবায় সমিতি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারের কাছে আর্থিক অনুদান, স্বল্প সুদে ঋণসহ বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছে প্রাথমিক সমবায় সমিতি ফোরাম নাটোর শাখার নেতৃবৃন্দ।
রোববার (৫ জুলাই) সকালে শহরের ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনটির সভাপতি এ কে এম আলীমুজ্জামান খান বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শুধু নাটোর সদরের ২৬টি সমিতি থেকেই ১৪৭৪৮০ টাকা অডিট ফিস ও কো-অপারেটিভ ফান্ড থেকে সরকারকে ১৭৮৫৪৩ টাকা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান করোনা সংকটে আমাদের আদায় নেই। তাই চলতি বছরের জন্য বিদ্যমান নিরীক্ষা ফি ১০ হাজার টাকা, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সিডিএফ তহবিলে নিট মুনাফার ৩ শতাংশ মওকুফ করা, ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ ৩ বছর থেকে ৫ বছর ও সময়বর্ষ আর্থিক বছরের পরিবর্তে খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডার বর্ষ করা, প্রতিটি সমিতিকে ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদে জামাতনবিহীন ঋণ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, সরকার আমাদের ন্যূনতম এই আর্থিক সহায়তা না দিলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো না। প্রান্তিক পর্যায়ে সঞ্চয় গঠিত না হলে অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি নুজহাত প্রমা, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন সমিতির সভাপতিরা।