ভুতুড়ে বিলের দায়ে ২৯০ জন চিহ্নিত

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 14:33:25

বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের দায়ে ২৯০ জনকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ।

রোববার (৫ জুলাই) দুপরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৯৬ বিলে অসঙ্গতি পেয়েছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দুই কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১১ জনের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নয় লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহকের মধ্যে ১৫ হাজার ২৬৬ জন, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৫ হাজার ৬৫৭ জন, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২ হাজার ৫২৪ জন, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৫৫৬ জন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৫৮২ জন অতিরিক্ত বিলের শিকার হয়েছে।

দুঃখ প্রকাশ করে সচিব বলেন, আমরা সব সময়ই গ্রাহক বান্ধব। আমরা যে আস্থা হারিয়েছি আশা করছি তা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে পারবো। ভবিষ্যতে বিতরণ কোম্পানিগুলো এ ধরনের সংকট সমাধানে শতভাগ মিটার রিডিং নিয়ে বিল করবে। করোনার মধ্যে আমাদের মিটার রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করতে পারেনি। এজন্য এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। করোনার মধ্যে ৬০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এরমধ্যে ১২ জন বিদ্যুৎ কর্মী মারা গেছেন।

আরইবি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে তারা খুঁজে বের করছে কারা এর জন্য দায়ী। চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করার কাজ চলছে। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

ডিপিডিসি অতিরিক্ত বিলের অভিযোগে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত, ৩৬টি ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এছাড়া আরো ১৩ জন মিটার রিডার এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ মোট ১৪ জনকে চুক্তি ভিত্তিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

নেসকো ২ জন মিটার রিডারকে বরখাস্ত করেছে। একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলি করেছে। ওজোপাডিকো ২২৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।

সচিব আরো বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে যারাই অভিযোগ করেছেন সবগুলো সমন্বয় করে দেয়া হয়েছে। কোনো গ্রাহক যদি এখনও মনে করে তার বিল বেশি এসেছে তার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা তার বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিলম্ব মাসুল ছাড়া জুনের মধ্যে বিল পরিশোধের সিদ্ধান্ত ছিল, সেই সময় বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। তবে সেটি শুধুই আবাসিকের ক্ষেত্রে দেয়া হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর