জামালপুরে ত্রাণের জন্য হাহাকার

, জাতীয়

সাহিদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর | 2023-08-11 21:36:59

জামালপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তাই পরিবার নিয়ে অনেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। নিম্নাঞ্চলে এখনো পানি থাকায় বানভাসিরা অনেকে রয়েই গেছেন বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে। তবে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীগুলোতে পানি কমলেও বেড়েছে ভোগান্তি। দুর্গত এলাকার মানুষের কাছে এখনো ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছার অভিযোগ বানভাসিদের। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেই বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেট সুবিধা। গত ৯ দিন ধরে যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী এলাকার পানিবন্দী প্রায় চার লাখ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বন্যার পানি কমতে থাকলেও জেলার ৮টি পৌরসভাসহ ৪৮টি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল । গত ৯ দিনের বন্যার পানির তোড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অযোগ্য হয়ে পড়েছে ছোট বড়, কাঁচা-পাকা প্রায় ২শ কিলোমিটার সড়ক।

বন্যার এবং করোনার কারণে দীর্ঘদিন থেকে কর্মহীন হয়ে বসে আছে অসংখ্যা মানুষ । ত্রাণের জন্য সব সময় তাকিয়ে থাকে এই মানুষগুলো । তবে ত্রাণ প্রত্যাশীদের বড় একটা অংশকে বাদ দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হলে কেউ বাদ পড়বে না এবং অনিয়মের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না বানভাসিদের এমনটি প্রত্যাশা।

সরেজমিনে জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চরে গিয়ে জানা যায়, বানভাসিদের নানান ভোগান্তির কথা।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৮৪ মেক্ট্রিক টন চাল ও নগদ ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। এছাড়াও গো-খাদ্য বাবদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর