'ভারতের সাথে পানি নিয়ে আলোচনায় সরকার ব্যর্থ'

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-25 11:37:07

ভারতের সাথে পানি নিয়ে আলোচনায় সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।

তিনি বলেছেন, গজল ডোবা বাঁধ নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা ছাড়া তিস্তা নদী পাড়ের মানুষকে রক্ষা করা দুরূহ হবে। পানি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করতে হবে। না হলে আমাদেরকে তিস্তা নদীতে ডুবতে হবে। এটি আমাদের কপালের দোষ কিংবা সরকারের ব্যর্থতা। যদিও সরকারের সাথে ভারতের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর বন্যায় নদী ভাঙ্গন বাড়ছে দাবি করে মসিউর রহমান বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় দুর্নীতিগ্রস্থ। এর দায়িত্ব যিনি থাকেন, তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নেন। এ মন্ত্রণালয়ের নিচ থেকে উপর পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙ্গন হচ্ছে।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নদী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা রয়েছে। তিনি বুঝেছেন নদী শাসন করতে হবে। তাই গোটা দেশে নদী শাসনের জন্য সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কারণে সেটি করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা সঠিক ভাবে নদী খনন করছে না। সঠিকভাবে ড্রেজিং করলে পানি সঠিক জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হতো এবং নতুন নতুন এলাকা বন্যা ও ভাঙ্গনের শিকার হতো না। দেশে হাজার হাজার মাইল আবাদি জমি বাড়ত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে তিস্তার পানি না গিয়ে বাম দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারতের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মসিউর রহমান বলেন, প্রতি বছর গজলডোবা থেকে পানি আসছে, বালু-পলি আসছে। এতে করে তিস্তা নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদী ও পাড়ের উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের ব্যবধান থাকে। ভারত গজলডোবার দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে তিস্তায় ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচুতে পানি চলে আসে। এতে করে হঠাৎ করেই মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। চরের মানুষ সারা বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে সঞ্চয় করে তা তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এবারও ৩ বার পানি বেড়েছে।

গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখাল ও বিনবিনার চর এলাকার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা। সেই সাথে চিলাখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের পাইলিংয়ের কাজের অগ্রগতি দেখেন। চিলাখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিনবিনার চরে ভাঙ্গন কবলিত ৪ শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহমেদ লাল, কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা খতিবার রহমান মাস্টার, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর