কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের অভ্যন্তরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ হয়ে দুইজন এবং উপসর্গ নিয়ে সাতজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তারা প্রত্যেকেই ওই অস্থায়ী হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৮৪ জন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৬৭জন ও করোনা উপসর্গ ছিল ১১২ জনের।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এখন হাসপাতালে ১১৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন, করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে ৬৩ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৩ জন রয়েছেন।’
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আমির হোসনের স্ত্রী রেহানা বেগম (৬২) এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সচিল চন্দ্র পালের ছেলে চয়ন কুমার। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন, কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার মিজানুর রহমান (৩৮), সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকার ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে ফিরোজা বেগম (৬০), সদর দক্ষিণ উপজেলার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রোকেয়া খাতুন (৬৫), মনোহরগঞ্জ উপজেলার আবদুল খালেকের ছেলে স্বপন (৩৮), চান্দিনা উপজেলার আবদুল্লাহর মেয়ে ফিরোজা বেগম (৬০), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘনা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৬৫) ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলার নিকিল সরকারের ছেলে নারায়ণ সরকার (৪০)।