এডিস মশার লার্ভা থাকায় চারদিনে ১২২ মামলা

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-15 01:51:45

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা নিধনে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি)। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ডে একযোগে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।

গত ৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দশ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযানের শনিবার (১১ জুলাই) ছিল সপ্তম দিন। চিরুনি অভিযানের সপ্তম দিনে ১৩ হাজার ৪৯১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১১৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পায় ডিএনসিসির টিম।

এছাড়া ৭ হাজার ৮৩০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পেয়েছে অভিযানে থাকা টিমগুলো। এ সময় ১৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোট ৯২ হাজার ৯৩১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৬৭৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৫৫ হাজার ৯৬৫টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পায়। এ চারদিনে ১২২টি মামলায় মোট ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১১০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ডিএনসিসি।

উত্তরা (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৭টি মামলায় মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৮৯৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ৩ হাজার ২০৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪০৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২টি মামলায় মোট ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫০৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৩৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪৭৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৪৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ১ হাজার ৮৮৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪৩৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯০০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৯৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৮০৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫৪৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫৫৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩২৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৫৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৪৬০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর