বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে ৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2023-08-25 23:20:40

গেল ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা রাজস্ব আদায়  হয়েছে। এ সময় এ পথে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ জন যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেন।

এ আদায়কৃত অর্থের মধ্যে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক আদায় করেছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাকি অর্থ আদায় হয়েছে দেশের অনান্য সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে। করোনা প্রার্দুভাবের কারণে এবার যাত্রীর যাতায়াত তার আগের অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে বলে জানা গেছে।

রোববার (১২ জুলাই) সকালে বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রকিবুল ইসলাম যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ে কাজ করে থাকে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যাত্রী প্রতি তারা ৫০০ টাকা ভ্রমণকর এবং বন্দরের ট্রাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করে থাকে। সে সকল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছে তাদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অনান্য দেশের রয়েছে।

বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধ ভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টে ভারত যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাস যোগে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ যাতায়াতে প্রথম থেকে স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করে থাকেন। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথ ও রেল পথে যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করে থাকেন। করোনার কারণে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ১৩ মার্চ থেকে এপথে বাংলাদেশিদের ভারত যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের বিশেষ অনুমতিতে ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াত সচল রয়েছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে প্রতিবছর এত বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় হলেও এখানে যাত্রী সেবা বাড়েনি। অবকাঠামো উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।  এছাড়া সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করা হলেও বন্দরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তেমন কোন সেবা নাই। ইমিগ্রেশনে যাত্রী ছাউনী না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ রোদে পুড়তে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। রয়েছে ইমিগ্রেশন ও যাত্রী টার্মিনালে প্রতারক আর ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর