‘ইউনাইটেড হাসপাতাল চিকিৎসার নামে আর্থিক প্রতারণা করছে’

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 15:02:36

ইউনাইটেড হাসপাতালে চারদিন ভর্তি থাকা একজন নন-কোভিড রোগীর জন্য পুনঃব্যবহারযোগ্য ৩টি পিপিই, ৪৪টি এপ্রোন, ৪৮টি মাস্ক, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ৩৩৮টি, ক্যাপ ৪৩টি, জুতার কভার ৫৪টি, গজ ৫০টি এবং ৫টি হ্যান্ড স্যানিটারজাইরের বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই রোগীর চারদিনের বিল করা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৬৩ টাকা। নুরুল হক ভূঁইয়া নামের ওই ভুক্তভোগী রোগীর ছেলে ফারহান নূর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে রোববার (১২ জুলাই) লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা করোনা রোগী ছিলেন না। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় চার দিনে দু’দফায় টেস্ট করা হয়। প্রতিবারেই করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। পরিবারের লোকজন যখন হাসপাতালে দেখতে গেছি তখনও মাস্ক, জুতার কভার, ক্যাপ ও এপ্রোন কিনে প্রবেশ করতে হয়েছে। অন্যদিকে একই পিপিই ও মাস্ক, এপ্রোন পরে অনেক রোগীকে সেবা দিতে দেখেছি নার্স-ডাক্তাররা। সার্জারি রোগী না হওয়া সত্ত্বেও সার্জারির সুতার বিল করা হয়েছে। করোনা রোগী না হওয়া সত্ত্বেও এসব সামগ্রী ব্যবহার আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।’

ভোক্তা অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ফারহান নূর। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আমার বাবার চিকিৎসার জন্য কতজন ডাক্তার নার্স প্রয়োজন হয়েছে। হাসপাতালটির এই কার্যক্রম দেখে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, তারা চিকিৎসার নামে আর্থিকভাবে প্রতারণা করছে।’

ফারহান নূর ভোক্তা সংরক্ষণে অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি বর্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর অভিজাত হাসপাতালের দাবিদার এই হাসপাতালটির নামের সঙ্গে প্রথম থেকে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। টাকার জন্য রোগী আটকিয়ে রাখা, ভুল চিকিৎসা। সর্বশেষ মর্মান্তিক আগুনের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না৷ এমনকি ছিল না অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার, যা থাকলে আগুন নেভানো সম্ভব হতো৷ কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট, হোস পাইপ, বালতি বা বালুও ছিল না৷ ছিল না হাসপাতালের কোনো অগ্নি নির্বাপক দলও৷ ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং মূল ভবনের বাইরে যে তাবু নির্মাণ করা হয় তারও কোনো অনুমোদন ছিল না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর