আ.লীগে লোভী-ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই: কাদের

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 23:38:28

দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে সুযোগ দেয়নি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার মোটেই কার্পণ্য করে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সংগঠনে আশ্রয় নেওয়া লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভেতর বর্ণচোরা হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে নিজের সহায় সম্পত্তির গোছানোর চেষ্টা করবে অনিয়ম করে। তাদের সর্তক করে দিচ্ছি এমন অপকর্ম আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের অর্জন নস্যাৎ হতে দিতে পারি না।

সোমবার (১৩ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই, তাদের নেই দলীয় পরিচয়। যারা অপরাধী, অপরাধীর অপরাধকেই বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কাজে অনিয়মসহ এবং স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম শুদ্ধি অভিযানের অংশ। অন্যান্য খাত বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার। সরকার চালকের আসনে থেকে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ১৯৭৫ পরবর্তী এদেশের সবচেয়ে সৎ এবং নির্মোহ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব।

কাদের বলেন, বিএনপি সরকারে থেকে দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা নানা অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিকে নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনর্বাসিত করেছিল, তাদের মুখে অনিয়মের কথা বলা মানায় না। আমরা এখন জনগণকে বাঁচাবার লক্ষ্যে সর্বাত্নক কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ জীবিকা নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে বেছে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সুচিন্তিত সহযোগিতা চায়। বিএনপি অসহায় জনগণের পাশে না থেকে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। রাজনীতি বিচ্ছিন্নতা উদযাপন করছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা অসহায়ত্ব তাদের চোখে পড়ে না। মানুষের কল্যাণে সরকারের নিরলস প্রয়াস তারা দেখতে পায় না। সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকাতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া চিরাচরিত মিথ্যাচারে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি। জনগণ আর এখন মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না। দেশের মানুষ এখন আর দোষারোপের রাজনীতি পছন্দ করে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রাজনীতি হবে মানুষকে বাঁচানোর বৈশ্বিক সংকট করোনা প্রতিরোধ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বে, তাদের মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) কথায় কথায় সরকারের মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করেন। আমি বলব আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বিএনপির শীর্ষ থেকে নিচ পর্যন্ত নেতৃত্বেকে পদত্যাগ করার উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন, আপনাদের সময়কালে এমন একটি উদহারণ দেখাতে পারবেন?

এ সম্পর্কিত আরও খবর