নিয়ন্ত্রণে তিস্তার পানি, নিঃস্ব হাজার পরিবার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট | 2023-09-01 03:56:27

তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর অবশেষে পানি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে এলেও ঘরে ফিরতে পারছে না তিস্তা তীরবর্তী মানুষরা। জেলার ৫টি উপজেলায় পানি কমে যাওয়ার কারণে তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়িসহ ফসলি খেত ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সে.মি.) চেয়ে ০০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার থেকে কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

তিস্তা ব্যারেজে

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১২ জুলাই) রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। দিনভর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার দুপুর থেকে কমতে শুরু করে।

তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতিও অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এ বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। তবে তিস্তার দুই তীরে ভাঙনে শত শত হেক্টর জমির বাদাম, ভুট্টা ও সবজি খেত নদীতে চলে যাচ্ছে। তাছাড়াও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সরকারপাড়া নামক এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বসতঘরে পানি ঢুকে পড়েছে

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার থেকে কমিয়ে এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর