নদী বেষ্টিত জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলায় ছোট-বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ উঁচু এলাকা। পানি বন্দি হয়েছেন ২ লক্ষাধিক মানুষ। একইসঙ্গে কুড়িগ্রামের ২ সহস্রাধিক মাছের পুকুর ডুবে প্রায় ৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলায় তলিয়ে গেছে ২ হাজার ৭৩টি পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৫ জন। পোনা মাছ ও অবকাঠামোসহ ৭ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার মৎস্য চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের মৎস্য চাষি মো. নুর ইসলাম (খুডু) বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি বন্যার আগে বিভিন্ন প্রজাতির ৬০ হাজার টাকার পোনা মাছ পুকুর লিজ নিয়ে ছেড়েছি। কিন্তু বন্যায় সব পোনা বেরিয়ে গেছে। আমি আগামীতে মনে হয় আর মাছ চাষ করতে পারব না।’
ওই ইউনিয়নের কদমতোলা গ্রামের আশরাফুল নামে আরেক মৎস্য চাষি বলেন, ‘আমি ৬ মণ পোনা মাছ ছেড়েছি। বন্যায় সব মাছ চলে গেছে। যার আনুমানিক মূল্যসহ খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার।’
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালি পদ রায় বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ থেকে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৎস্য চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবহিত করেছি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পেলে তাদের দেয়া হবে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডর তথ্য অনুযায়ী, এখনো চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮১ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।