উদ্বোধনের অপেক্ষায় কক্সবাজারের ‘শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প’

, জাতীয়

মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-08-31 03:41:05

দেশের ১০টি বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প হচ্ছে ‌'শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প'। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি ৫ তলা ভবনের কাজ শেষ করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এবার হয়তো জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষগুলো তাদের আশ্রয়স্থল খুঁজে পাবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে ভবনগুলোর ফ্ল্যাট উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

এছাড়া সময়ের প্রয়োজনে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নতি করতে শহরের কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরাটেক এবং সমিতি পাড়া এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। এতে ৪৪০৯টি পরিবার ভূমিহীন হয়ে পড়ে। তাদের করতে সরকার ‘শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষা এলাকায় প্রায় ২৫৩.৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। যে প্রকল্পে ১৩৭টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ হবে। যার মধ্যে শেখ হাসিনা টাওয়ার নামে একটি ১০ তলা বিশিষ্ট একটি সুউচ্চ ভবনও থাকবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ২০১৭ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯টি ভবনের কাজ শেষ হয়। বাকিগুলোর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এ সময় উপকারভোগীদের সাথেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্পে অভ্যন্তরে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল, স্বাস্থ্য সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক, বিনোদনের জন্য পার্ক থাকবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় আশ্রয় পাওয়া মৎস্যজীবীদের কর্মসংস্থানের জন্য স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিক নগরায়ণ পরিকল্পনায় নির্মিত হবে একটি শুটকি পল্লী। খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্পটিকে মূল শহরের সাথে সংযোগের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।

এরই মধ্যে ১৯টি ভবনের কাজ শেষে হয়েছে

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের ১৯টি ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এসব ভবনের ফ্ল্যাটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের হস্তান্তর করা হবে। এ লক্ষ্যে গত ১৪ জুলাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদান উপলক্ষে লটারির ড্র আয়োজন করা হবে। উপকারভোগীরা লটারিতে যেভাবে ভবনের ফ্ল্যাট পাবেন, সে মতে ৬০০ পরিবারের মাঝে ফ্ল্যাটগুলো বুঝে দেয়া হবে।’

এদিকে ভূমিহারা মানুষগুলো স্থায়ী ঠিকানা পেলেও ভুগছেন কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তায়। এসব মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করার পাশাপাশি আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির দাবি জানিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে সব ব্যবস্থা যখন চালু হবে তখন তাদের কর্মসংস্থানের অভাব হবে না। এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা হয়েছে।’

তারা যেন আধুনিক সুযোগ সুবিধা পান সেদিকে নজর দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর