কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের বারপাড়া এলাকায় অননুমোদিত পানির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই কারখানায় অননুমোদিত ব্র্যান্ডের নামে পানি উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করে বিপণনের দায়ে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি বিশেষ আভিযানিক দল শনিবার গভীর রাতে বারপাড়া এলাকায় মেসার্স চৌধুরী মার্কেটিং নামক ১টি কারখানায় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত অননুমোদিত ব্র্যান্ডের নামে ডিস্টিল ওয়াটার, ব্যাটারির পানি এবং খাবার পানি উৎপাদন ও প্যাকেটজাত করে বিপণনের দায়ে কারখানার মালিক আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও কারখানার ডিস্ট্রিবিউটর মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবু সাঈদ উক্ত অপরাধগুলো আমলে নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫০ ও ৫১ ধারা মোতাবেক কারখানার মালিক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরীকে ২ লাখ টাকা এবং ডিস্ট্রিবিউটর মহিউদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, মেসার্স চৌধুরী মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে খাবার পানির জারের ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে বেশি লাভের আশায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত, কেমিস্ট বিহীন, সুনির্দিষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ফুড গ্রেড নয় এমন প্লাস্টিক মোড়কে পানি উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে বিপণন করে আসছিল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আব্দুল মান্নান চৌধুরী নিজেই প্রতিষ্ঠানের মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর, মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পালন করতো। কেমিস্ট না থাকলেও সে নিজেই কেমিস্টের দায়িত্ব পালন করতো, যদিও তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বাণিজ্য বিভাগে এসএসসি। প্রতিষ্ঠানটি মান নিয়ন্ত্রণহীন ও অননুমোদিত মিনারেল কনটেন্ট খাবার পানি ও ব্যাটারির পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানান তিনি।