বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-31 15:04:41

গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি ধীর গতিতে কমছিল। তবে বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি আবারো বাড়ছে। শনিবার (১৮ জুলাই) রাত থেকে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

একই সঙ্গে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তার ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে জেলার প্রায় ২ লাখ বন্যা দুর্গত মানুষ। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট আরও তীব্র। এমন পরিস্থিতিতে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় যাদের ঘরে খাবার আছে তারা ২ থেকে ৩ বার করে ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে। স্বজনপ্রীতির কারণে এমনটা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বার্তা২৪.কমকে জানান, শনিবার (১৮ জুলাই) রাত ৩টা থেকে রোববার (১৯ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরও ২-৩ দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া থেমে থেমে পুরো জুলাই মাস জুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, রোববার (১৯ জুলাই) সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা ও ধরলার পানি আবারো বৃদ্ধি পাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭০ মেট্রিক টন চাল, জিআর ক্যাশ ৯ লাখ টাকা, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা বিতরণ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর