বাড়ছে গড়াইয়ের পানি, পাড় ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-27 18:15:29

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই নদীতে বেড়েই চলছে পানিবৃদ্ধি। এতে নদী সংলগ্ন চাপড়া ও যদুবয়রা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পাড় ভেঙে কয়েকটি গ্রাম ও শতশত বিঘা কৃষিজমিতে পানি ঢুকে পড়ছে। ফলে ধান, পাট, ভুট্টা ও কলাসহ বিভিন্ন ফসলাদি প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ হলো গড়াই নদীতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। আর তিনদিন আগে থেকে উপজেলার যদুবয়বা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের হিজলাবট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে একটি পয়েন্টে প্রায় ১৫ মিটার পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে কৃষিজমিতে।

পাড় মেরামত করা না গেলে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অপরদিকে, চাপড়া ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের নেহেদ আলীর বাড়ির পাশে প্রায় ৩০ মিটার গড়াই নদীর পাড় ভেঙে চাপড়া ও মধ্য চরপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে আরও পাঁচটি গ্রাম ও শতশত বিঘা কৃষিজমি হুমকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে হিজলাবট গ্রামের কৃষক আহম্মদ আলী বলেন, ‘প্রতি বছরই নদীর পাড় ভেঙে কৃষিজমি প্লাবিত হয়, ফসলাদি নষ্ট হয়। এবছরও আমার এগারো বিঘা জমির ফসলাদি পানিতে ডুবে গেছে হয়েছে। ভাঙন ঠেকানো না গেলে শতশত বিঘা জমি প্লাবিত হবে।’

এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, ‘জমির ফসল খেয়ে বেঁচে আছি। প্রতিবার ভাঙনে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এবারও হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান বলেন, ‘নদীতে ওভার ফ্লো হওয়ার কারণে পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধ করা না গেলে আশপাশের ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, এবার অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারে গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওভার ফ্লো হয়েছে। চাপড়াতে একটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছিল। তবে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

পাড় ভাঙন রোধে একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, ‘গড়াই নদীর পাড় ভেঙে চর চাপড়া গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু স্থানীয় ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাৎক্ষণিক বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর