খালের দায়িত্ব আমাদের দিলে পুনরুদ্ধার করব: মেয়র আতিক

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 17:24:33

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। যথাযথভাবে কাজ হয়নি বলে মনে করেন তিনি।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) মেয়রদের নিয়ে পৃথকভাবে রাজধানীর জলাবদ্ধতার স্থানগুলো পরিদর্শন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী। পরিদর্শনকালে দুই মেয়রই খালের দায়িত্ব নিজেদের অধীনে চেয়েছেন।

বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কারওয়ান বাজার এলাকায় পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণের মেয়রসহ আমি বলেছি ওয়াসা থেকে আমাদেরকে খালগুলো দিয়ে দিন। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমরা কথা দিতে পারি, এ খাল আমরা পুনরুদ্ধার করব।’

কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনের সামনে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘আগে যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ড্রেনের পাইপ যত মোটা করা হয়েছে, যতটুকু পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করা হয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার চেয়ে আরও বেশি স্পেস লাগবে। কতগুলো বিষয়ে কাজ করা দরকার। যেমন খাল ভালো করে পরিষ্কার করা। যদিও আমরা এসব বিষয়ে প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সবগুলো এখনো ঠিকমতো পরিষ্কার হয় নাই। এ জন্য আমি আজ মাঠে পরিদর্শনে এসেছি। যে সব তথ্য পাচ্ছি, সে অনুযায়ী একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য আস্তে আস্তে আগাবো। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল। যেমন এখানে পানি আউটলেট হওয়ার মতো যথেষ্ট স্পেস নাই। অর্থাৎ যে ব্যবস্থাপনা আছে, এ ব্যবস্থাপনার ত্রুটি আছে। এখানে আরও বর্ধিত ব্যবস্থাপনা লাগবে। আমরা ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প নিয়ে কাজ করব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরের মানুষ যাতে দুর্ভোগের সম্মুখীন না হয়, সে জন্য চেষ্টা করব।’

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গতবার যখন এসেছিলাম, তখন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সামনে পানি জমে ছিল। এখন পানি কিন্তু জমে না। কালশীর জলাবদ্ধতার সমাধানও আমরা করেছি। আমরা কাওলা খাল নিজেদের উদ্যোগে খনন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে খালগুলো দিয়ে দিন। আমরা কথা দিতে পারি, খালগুলো আমরা পুনরুদ্ধার করব। ড্রেন থেকে খাল এবং খাল থেকে নদীতে আমরা সংযোগ করব। আমরা দেখেছি কারওয়ান বাজারে গতকাল কোমর পানি ছিল। কি জন্য ছিল? আমরা ব্যাখ্যা করেছি।’

মেয়র বলেন, ‘এখানে মাস্টার প্ল্যান করতে হবে দুটো। একটা হচ্ছে সাফিসিয়েন্ট পাম্প লাগাতে হবে, যাতে পানি হাতিরঝিল থেকে পানি ওপারে যায়। আর আমাদের কানেক্টিভিটি আরও স্ট্রং করতে হবে। আমরা দেখেছি মগবাজারের কি অবস্থা। আমি মন্ত্রীকে বলেছি ঢাকা শহরের যেসব জায়গায় এই মুহূর্তে পানি জমছে কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মিরবাগ, মধুবাগ। আমরা একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। এটির যদি অনুমোদন পেয়ে যাই, ইনশাল্লাহ কথা দিতে পারি আগামী বছর এই এলাকায় পানি জলাবদ্ধতা তৈরি হবে না। আমরা ২৬টি জায়গা চিহ্নিত করেছি। কথা দিতে পারি, এই বর্ষাতে আমরা দশটি এলাকা ঠিক করে ফেলতে পারব।’

পরিদর্শনকালে প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর