যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে ফের পানি বৃদ্ধি, বিপাকে লাখো মানুষ

, জাতীয়

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 01:52:28

গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা নদীর মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা পয়েন্টে। বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। জেলার সিংগাইর উপজেলা ব্যতিত বাকী ৬ টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এরপর আবার ফের বাড়ছে যমুনার পানি।

পানিবন্দি হয়ে বিপাকে রয়েছে লাখো মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য সংকট রয়েছে বন্যা কবলিত এসব এলাকায়। গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট। আবারও যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটছে বানভাসিদের।

জেলার দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, ঘিওর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লাখো মানুষ এখন পানিবন্দি। বন্যার পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয় উপজেলার বাসিন্দারা। অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের।

দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা বেশ অপ্রতুল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অর্ধেকেরও বেশি  ত্রাণ থেকে এখনো বঞ্চিত রয়েছে বলে জানান তিনি।

গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা নদীর মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা পয়েন্টে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, বন্যায় কবলিত হয়ে তার এলাকায় পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। এর মধ্যে বন্যার জন্য তিনি ত্রাণ পেয়েছেন মাত্র তিনশো প্যাকেট। এখন এই ত্রাণ বিতরণ নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ অনেক কম। যে কারণে জনপ্রতিনিধিদেরকে দোষারপ করছে সাধারণ মানুষ।

পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, যমুনা নদীর আরিচা অংশে পানির বিপৎসীমা হচ্ছে ৯ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। এবারের বন্যায় পানি বৃদ্ধির সর্বোচ্চ রেকর্ড ১০ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার।

তবে সেই পানি আবার কমে আসলেও গত ২৪ ঘন্টায় ফের বাড়তে শুরু করে যমুনার পানি। সবশেষ যমুনা নদীতে ১০ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার রয়েছে। যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, জেলার ২৩৪ বর্ কিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য নগদ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর