নারী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টা, চিকিৎসক আটক

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-09-01 07:08:36

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। স্ত্রী-সন্তান থাকলেও প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী আইনজীবীর (২৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

সে সময় গোপনে ওই নারী আইনজীবীর সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক এবং ভিডিও ধারণ করে রাখেন চিকিৎসক সাখাওয়াত। পরে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে টানা ১৭ মাস ধর্ষণ করে আসছেন তিনি।

শনিবার (২৫ জুলাই) সকালেও ভুক্তভোগী নারী আইনজীবীর বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান ডা. সাখাওয়াত। তবে ওই নারী রাজি না হওয়ায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল করে পুলিশকে জানান নারীর সঙ্গে এক বাসায় ভাড়া থাকা আরেক নারী।

এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।

নারীর অভিযোগ- চিকিৎসক রানা একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপনে সহ্য করে আসছিলেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান এসব তথ্য জানান। ওসি বলেন, ‘আটক চিকিৎসকের কাছ থেকে কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক দাবি করছেন- তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে ভুক্তভোগী নারী থানায় ধর্ষণ মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা দায়ের করা হলে চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন।

তবে ভুক্তভোগী নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায়। রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর