পটুয়াখালী শহরে হঠাৎ করেই কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় দুই শিক্ষার্থীকে কোপানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহরের গ্যাং কালচার এবং অস্ত্রের মহড়া বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি দাবি করছেন জেলাবাসী।
গত ২২ জুলাই দুপুরে পটুয়াখালী শহরের পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মারামারির ঘটনায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতারও করেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই শহরের পিটিআই রোডস্থ এলাকায় রিজন ও হৃদয় নামে দুই যুবক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছিলো। এ সময় পিটিআই রোডস্থ এলাকার নাসিব তাদের প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে রিজন ও হৃদয় তার (নাসিব) ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জেরে ওই দিন দুপুরে নাসিব লাউকাঠী খেয়াঘাট এলাকার মুন্না এবং চরপাড়া এলাকার নিবির দাস গুপ্তাকে নিয়ে শহরের পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। এ সময় থানাপাড়া এলাকার সবুরের নেতৃত্বে শিশুপার্ক এলাকার রিফাত, সিফাত, সিমুলবাগের আরমান, সবুজবাগের রিজন, নতুন বাজার এলাকার হৃদয়, পিটিআই রোডের পুলক, আদালতপাড়ার রতন, সাদাত, জুয়েল, সাজিনসহ ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে অবস্থান নেয়। মাদক সেবনের বাঁধা দেয়ার ঘটনার জেরে নাসিবের ওপর তারা হামলা চালালে নাসিব দৌড়ে পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দোতলায় চলে যায়। এ সময় নাসিবের বন্ধু মুন্না এবং নিবির দাস গুপ্তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে মুন্না এবং নিবির দাস গুপ্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত মুন্নার মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলার অধিকাংশ আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে বলেও জানান বাদী সাহিদা বেগম।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার মোর্শেদ জানান, মামলা গ্রহণের পর পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।