৩৩৩ নম্বরে ফোন করে যেকোনো ব্যক্তি ত্রাণ সহায়তা চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
শনিবার (২৫ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন ।
তিনি বলেন, ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিংয়ে ৬টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও মাঠ পর্যায়ে কমিটিসমূহ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠিত কমিটি সমূহকে আগামী ২১ দিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । মাঠ পর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা কবলিত ৩১টি জেলা ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১০ মেট্রিক টন চাল, ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ১ লাখ ২১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৭০ লাখ টাকা, ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহ- মঞ্জুরি বাবদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রর তথ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, জামালপুর এবং নওগাঁ জেলায় আগামী দুই দিন বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে । এরপর পানি কমতে পারে । তারপরও সমুদ্রে যদি জোয়ার থাকে তাহলে মধ্যাঞ্চলের পানি কমতে বিলম্বিত হতে পারে, তা না হলে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশের সব এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে পারে।