খুলনা র‌্যাব কার্যালয়ে সাহেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা | 2023-08-25 23:50:07

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার অবৈধ অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য খুলনাস্থ র‍্যাব-৬ কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে র‍্যাব-৬ কার্যালয়ে আনা হয়। খুলনার র‌্যাব ৬ কার্যালয়ে সাহেদকে ১০দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হওয়া সাহেদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সাতক্ষীরার ভার্চুয়াল আদালত। এ অস্ত্র মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র‍্যাব- ৬। সাতক্ষীরার দেবহাটাতে সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলাটি করে র‍্যাব। এই মামলার রিমান্ড শেষে উত্তরা পশ্চিম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা জালনোটের মামলায় আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হবে।

র‍্যাব বাদী হয়ে প্রতারক মো. সাহেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে। প্রতারণার অভিযোগে প্রথম মামলা দায়ের হয় উত্তরা পশ্চিম থানায়, দ্বিতীয় মামলা (অস্ত্র) সাতক্ষীরার দেবহাটাতে এবং তৃতীয় মামলা জালনোট উদ্ধারের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা মামলা করা হয়। তিনটি মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র‍্যাবকে অনুমতি দিয়েছে। রিমান্ড শেষে অস্ত্রের বিষয়ে জানা যাবে বলে সূত্রটি জানিয়েছেন।

র‍্যাব-৬ মিডিয়া অফিসার এএসপি মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, আগামী ১০ দিন রিমান্ডে রেখে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এখন তেমন কোনো বিষয় নেই। জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্রিফ করা হবে।

উল্লেখ‌্য, গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভূয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এরপর রোববার (২৬ জুলাই) র‌্যাব সদর দপ্তরে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ করিম তার প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে সাহেদ।

তিনি বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতেন বলে অভিযোগ ও তথ্য পাওয়া গেছে। তার অর্থ পাচারের বিষয়ে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) অনুরোধ জানিয়েছে। সিআইডি তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর